কেন্দুয়ায় সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে খোয়া যাচ্ছে দলিল! অবশেষে সেই সাব-রেজিস্টারের বদলি

juel / ৬৫ দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৫ মে, ২০২২

কেন্দুয়া ( নেত্রকোনা) সংবাদদাতাঃ

নেত্রকোনার কেন্দুয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল খোয়া যাওয়াসহ প্রায়শই গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র গায়েব হয়ে যাওয়ায় চরম হয়রানির শিকার হয়ে আসছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। অফিসটির সাব-রেজিস্টারের যোগসাজশে একটি অসাধু চক্র এসব ঘটনা ঘটিয়ে আসছে। এ বিষয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে কেন্দুয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সাব-রেজিস্টার আব্দুল মোতালেবকে বদলি করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ মে) বিকালে কথা হলে নেত্রকোনা জেলা রেজিস্টার খন্দকার জামিলুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, কেন্দুয়ার সাব-রেজিস্টার আব্দুল মোতালিবকে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বদলি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কেন্দুয়া সাব-রেজিষ্টার আব্দুল মোতালেবের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমাকে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে বদলি করা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে হাতে এখনও অর্ডার পাইনি।

সম্প্রতি কেন্দুয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের দিগলী গ্রামের মৃত ইসলাম উদ্দিন ফকিরের (লাল মিয়া) ছেলে এনামুল হাসান হক ফকির নামে এক ব্যক্তির ক্রয়কৃত ১ একর ৫৫ শতাংশ জমির এক দলিল গায়েব হওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলে।ভুক্তভোগী এনামুল হাসান হক ফকির একই উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের নোয়াদিয়া গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রউফের কাছ থেকে ১ একর ৫৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। গত ২০২০ সালের অক্টোবর মাসের ২৭ তারিখ কেন্দুয়া সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে এর দলিল রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করা হয়।যার দলিল নং -৫০৩৫। ওই সময় তাকে মূল দলিলের ফটোকপি দেওয়া হলেও পরে মূল দলিলটি বুঝিয়ে দিতে টালবাহানা শুরু করে সংশ্লিষ্টরা। দলিল চাইতে গেলে তারা জানান, দলিলটি অফিসে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থায় গত কয়েক মাস যাবত চরম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে এনামুল হাসান হক ফকিরকে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির অন্যান্য খবর