কেন্দুয়ায় ৪৩ ছাত্রসহ কওমি মাদ্রাসার মোহতামিম উধাও

juel / ৫৮ দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০২২

নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় ৪৩ ছাত্রসহ কওমি মাদ্রাসার মোহতামিম উধাও হয়েছেন। এঘটনাটি গত রোববার রাতে উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের কুমরুড়া বাজারে সাইফুল্লাহ্ মহসিন দারুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ঘটেছে। মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলী আকবর তালুকদার জানান,২০১৯ সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে নেত্রকোণা সদর উপজেলার বর্ণী গ্রামের মৃত জালাল উদ্দিনের ছেলে হাফেজ মো. শহীদুল্লাহ নিয়োগ দেওয়া হয়। মাদ্রাসার বেশিরভাগ ছাত্রই তার এলাকার। তার আচার-আচারণে আমরা সবাই মুগ্ধ হয়ে মাদ্রাসা আর্থিকসহ মাদ্রাসার দায়-দ্বায়িত্ব তাকে দেওয়া হয়। গত রমজান মাস থেকে তার আচার-আচারণে আমাদের সন্দেহ সৃষ্টি হয়। বোরো মৌসুমে ধান ও নগদ টাকা প্রায় দেড় লাখ টাকা গ্রাম থেকে তোলা হয়। চলতি বছরের ৫ মাসে শিক্ষার্থীদের বেতন ও ভর্তি ফ্রিসহ ডোনার সদস্য হতে প্রাপ্ত প্রায় ৩ লাখ টাকা তার জিম্মায় ছিল। ২০/২৫ দিন ধরে মাদ্রাসা আয়-ব্যায়ের জানার জন্য তাকে কমিটির মিটিং ডাকার কথা বলে সে নানান অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। গত শুক্রবার বাজার মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়িয়ে সে গ্রামের বাড়ি চলে যায়। পরে রোববার গভীর রাতে মাদ্রাসায় এসে তার এলাকার ৪৩ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যায়। এসব ছাত্রদের অভিভাবকগণের ফোন পেয়ে মাদ্রাসায় গিয়ে দেখি ছাত্রদের বেডিং পত্র এলোমেলো ভাবে পড়ে আছে। পরে তার সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে গতকাল বৃহস্পতিবার ১০ টার দিকে মাদ্রাসায় আসার কথা দিয়েও আসেনি। তিনি আরো জানান,মোহতামিম শহীদুল্লাহ মাদ্রাসার আয় ও ব্যায়ে খাতাসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও কিতাব নিয়ে গেছে। তার কাছে মাদ্রাসার অন্তত ৪/৫ লাখ টাকা ছিল। আমরা বিভিন্ন ভাবে তার সাথে যোগাযোগ করলে সে নানান তালবাহানা করছে। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। এঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হলে পুলিশ এসে মাদ্রাসায় এসে দেখে গেছেন। এব্যাপারে কেন্দুয়া থানা ওসি আলী হোসেনের মুটোফোনে যোগাযোগ করেও কথা বলা যায়নি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির অন্যান্য খবর