গৌরীপুর প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে পৌর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর সরিয়ে নিজের বাড়ি নির্মান করার অভিযোগ উঠেছে। অবৈধ ভাবে জায়াগা দখল করে এই বাড়ি নির্মান করায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য কামাল হোসেন অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, বিদ্যালয়ের প্রতিবেশী সালাম,সাদেকুলের সাথে জায়গা নিয়ে বিরোধ চলছিল। পরর্বতীতে বিশৃংঙ্খল পরিস্থিতিতে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, বিষয়টিকে হস্তক্ষেপ করে।তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মর্জিনা আক্তার, সহকারী কমিশনার (ভূমি), গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ সদস্যবৃন্দ,গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গ প্রতিবেশী দুজনকে ডেকে আলোচনা করে তাদের দাবীকৃত জায়গাটুকু বিদ্যালয়কে দিয়ে দিবার কথা বলেন। তাদের সম্মতিতে বিদ্যালয়ের সীমানা নির্ধারন করে পিলার স্থাপন করা হয়। তারা বিরোধ কৃত জায়গা বিদ্যালয়কে ছেড়ে দেন। আলোচনা শেষে গৌরীপুর থানার ওসি ও স্থানীয় এডভোকেট জসীম উদ্দিন আহমেদ বিদ্যালয়ের পিছনে পূর্ব- দক্ষিণ কোণে সীমানা চুড়ান্ত করে পিলার স্থাপন করেন। তাছাড়াও বিদ্যালয়ের পূর্ব- উত্তর কোণে একটি সীমানা প্রাচীর আছে যা বর্তমানে মাটির নীচে রয়েছে। বর্তমানে স্কুলের জায়গায় স্কুলের প্রধানশিক্ষক নিজেই দখল করে নিয়েছে।
এ বিষয়ে গত বুধবার ২৯ জুন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিকা পারভীন এর কার্যালয়ে বিদ্যালয়ের এস এম সির সভাপতি মাবুবুর রহমান, সাবেক সভাপতি ম.নূরুল ইসলাম,প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি বেগ ফারুক আহমেদ,পৌর সেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক ওমর ফারুক, সাবেক সদস্য অভিযোগ কারী মোঃ কামাল হোসেন, সালাম,সাদেকুল, আঃ রাশিদ বিএসসি’র উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত হয় যে আগামী ১৮ জুলাই বিরুধপূর্ন জায়গা মাপঝোক করে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।কিন্তু এ সিদ্ধান্ত অমান্য করে গতকাল শুক্রবার (১লা জুন) টিনের বেড়াদিয়ে আড়াল করে প্রধান শিক্ষক আরেকটি দেয়াল নির্মান করা কাজ শুরু করে। ঈদুল আযহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ উপলক্ষে বিদ্যালয় এখন ন্ধ রয়েছে।এই সুযোগটি প্রধান শিক্ষক কাজে লাগাচ্ছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কতৃক জায়গা দখল করে বাড়ী ও দেয়াল নির্মানকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।যে কোন সময় পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম মাজহারুল আনোয়ারকে একাদিকবার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিকা পারভীন এই প্রতিনিধিকে জানান,বিদ্যালয়ের সম্পত্তি রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব ব্যাবস্থা নেয়া হবে।