কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) সংবাদদাতাঃ
জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের ৭৩ তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন উপলক্ষে প্রধান অতিথি অসীম কুমার উকিল বলেন, শেখ কামাল ছিলেন বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধা, ক্রীড়া সংগঠক, ক্রীড়াবিদ পাশাপাশি দেশীয় সংস্কৃতি লালন ও চর্চা করতেন।
সভার শুরুর প্রাক্কালে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের আত্মার মাগফেরাত কামনার লক্ষ্যে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) বিকাল ৪ ঘটিকায় উপজেলা প্রশাসন উদ্যোগে স্থানীয় পাবলিক হল অডিটোরিয়ামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের ৭৩ তম জন্মবার্ষিকীতে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা বেগমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নেত্রকোনা -৩ ( কেন্দুয়া – আটপাড়া) সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নূরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আব্দুল কাদির ভূইয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র আসাদুল হক ভূইয়া প্রমূখ।
আলোচনা সভার পূর্বেই উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনের সামনে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের ভাসমান মুর্যালে ফুল দিয়ে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান অতিথিসহ অতিথিবৃন্দ।
সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের ৭৩ তম জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষে প্রধান অতিথি অসীম কুমার উকিল আরও বলেন, আগস্ট মাস, শোকের মাস। এই আগস্ট মাসেই “”৭৫ এর ১৫ আগস্টের প্রেতাত্মারা এখনও সজাগ, তারা বিভিন্ন ভাবে নৈরাজ্য ও নাশকতা সৃষ্টির করার জন্য পাঁয়তারা চালাচ্ছে, কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সকল সহযোগী ও অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ নাশকতার নীল নকশার বিরুদ্ধে দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে সর্বদাই প্রস্তুত। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুল হাসান ভূইয়া, তাজুল ইসলাম, শহিদুল হক ফকির বাচ্চুসহ আওয়ামী ও সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ , বিভিন্ন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ, কেন্দুয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোঃ বজলুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ গোলাম জিলানী, কেন্দুয়া উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান কর্মকর্তাগণ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ, স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দসহ সুধীজন।