কেন্দুয়া ( নেত্রকোনা) সংবাদ দাতা
কেন্দুয়ায় জাতীয় দিবস ২১ফেব্রুয়ারী, ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর এলেই শহীদ মিনারের যথাযোগ্য সম্মান দেখা যায়।অন্যথায় সারাবছরই অবহেলা আর অনাদরে পরে থাকে শহীদ মিনারটি। এমন করুন দশা যেন দেখার কেউ নেই। শহীদ মিনারটির রক্ষণাবেক্ষণ ও নজরদারির ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের যথেষ্ট উদাসীনতা রয়েছে বলে সচেতন মহলের অভিযোগ।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কেন্দুয়া শহীদ মিনারে গিয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, শহীদ মিনারের বেহাল দশা, যেন দেখার কেউ নেই। শহীদ মিনারটি অযত্ন-অবহেলায়, আগাছায় ভরপুর,এখন যেন ময়লা আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়েছে।অথচ বিষয়টি নজরে নেই কর্তৃপক্ষের।
প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, কেন্দুয়া পৌরশহরের বাসস্ট্যান্ড মোড়ে পৌর কবরস্থানের পাশে স্থাপিত শহীদ মিনারটি সকল মানুষের কাছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হিসেবে পরিচিত। ঐ শহীদ মিনারটি শুধুমাত্র জাতীয় দিবসগুলি এলেই যথাযোগ্য সম্মান পায় অন্যথায় সবসময় অযত্ন অবহেলায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এলেই শুধু ওই দিনগুলোতে এটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়। জাতীয় দিবসে পৌরশহরের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, সরকারি, বে-সরকারী, সামাজিক, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো বর্ণাঢ্য র্যালী ও ফুল হাতে নিয়ে শহীদ মিনারের গিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি এবং শহীদদের আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনা করতে আসেন। অপরদিকে জাতীয় দিবস পালন শেষ হলেই,সেই থেকেই এই পবিত্র স্থানটির পরিষ্কারের কোনো বালাই নেই কর্তৃপক্ষের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক ব্যক্তি বলেছেন, সময়ের পরিবর্তনে শহীদ মিনারের সম্মান আজ আমরা কেউ দিতে পারছি না, পক্ষান্তরে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর পরিবর্তে প্রতিনিয়ত করা হচ্ছে অসম্মান ও অবহেলা। বছরের কয়েকটি দিবসে শহীদ মিনারটি কিছু সময়ের জন্য পরিষ্কার করা হলেও সারা বছর ময়লা আবর্জনার ভাগারে পরিণত হয়ে থাকে।
বর্তমান শহীদ মিনারটির একদিকে বেহাল দশা অন্যদিকে পথচারীরাসহ শহীদ মিনারের সামনে সিএনজি-অটোরিকশার অঘোষিত স্ট্যান্ডের ড্রাইভাররা শহীদ মিনারের দেয়াল ঘেঁষে মলমুত্র ত্যাগে লিপ্ত রয়েছে সর্বক্ষণ যা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে ধরা পড়ে না।
শহীদদের শ্রদ্ধার জায়গা শহীদ মিনার আর সেই পবিত্র স্থানটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী ও সুধীমহলসহ সর্বস্তরের জনগণ।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। আমাদের শহীদ মিনারটিকে সবসময় যথাযথ সম্মান দেওয়া উচিৎ। যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ মিনারটি সংরক্ষণ করবেন বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) কাবেরী জালাল বলেন, বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। দ্রুত শহীদ মিনারটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।