আনোয়ার হোসেন শাহীনঃ
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে কলেজ ছাত্র জহিরুল ইসলাম মিঠু (২৬) হত্যা মামলার প্রধান আসামী ডেভিট রকি (২৫) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যাকান্ডের ৪দিন পর শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার পৌর শহর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
গৌরীপুর থানার এস আই মোঃ নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,
ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে ডেভিট রকিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে গৌরীপুর থানার পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে গৌরীপুর পৌর শহরের পাটবাজার মোড় এলাকায় স্বর্ণের দর-দামকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে গৌরীপুর সরকারি কলেজের ছাত্র মিঠুর মৃত্যু হয়। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত মিঠুর বাবা মোখলেছুর রহমান খান (৫৯) বাদী হয়ে শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় গৌরীপুর পৌরশহরের বাড়ীওয়ালাপাড়া মহল্লার এলবার্ট ডেভিট বাদলের ছেলে এলবার্ট ডেভিট রকি (২৫) ও এলবার্ট ডেভিট সেন্টু (৪০), কচিকাচা এলাকার আব্দুল হাফেজ খান নিলু মাস্টারের ছেলে পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইকরাম হোসেন খান মামুন (৪৭)সহ অজ্ঞাত ৬ জনকে আসামী করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে- ঘটনার দিন সন্ধ্যা ৬ টার দিকে পৌরসভার বাড়িওয়ালা পাড়া এলাকার এলবার্ড বাদলের ছেলে ডেভিট সেন্টু পাট বাজার মোড় এলাকার টিপু সুলতান জুয়েলার্সের দোকানে পুরাতন স্বর্ণালংকার বিক্রি করতে যান। এসময় স্বর্ণের দরদাম নিয়ে জুয়েলার্সের দোকান মালিক টিপু সুলতানের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে সে। সেন্টু তখন ঘটনাটি ফোন করে তার ছোট ভাই ডেভিট রকিকে জানায়। খবর পেয়ে রকি ঘটনাস্থলে এসে পুনরায় জুয়েলার্সের দোকান মালিকের সঙ্গে তর্কবিতর্ক শুরু করে দেয়। এসময় মিঠু এসে তর্কবিতর্ক থামানোর চেষ্টা করলে ডেভিট রকি তার সঙ্গেও বাককিতন্ডায় জড়ায়। বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে মিঠুর বুকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় ডেভিট রকি।
এদিকে মামলার ৩নং আসামী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা একরামুল হোসেন খান মামুনের দাবি- তিনি এ ঘটনার সঙ্গে কোনভাবেই জড়িত নন। পূর্ব শত্রুতার
জেরে তাঁকে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।