কেন্দুয়ায় পরপর ৩ বাড়িতে আগুন আতঙ্কে এলাকাবাসী

juel / ৭৫ দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২

কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) সংবাদ দাতা
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের কুতুবপুর গ্রামে পরপর তিন বাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার রাতে কুতুবপুর গ্রামের কৃষক জিতন মিয়ার বসত ঘর, গোয়াল ঘর এবং খড়ের গাদা ও একই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য লাট মিয়ার বসত ঘরে অগুন দেওয়া হয়েছে।

পরবর্তীতে বুধবার সন্ধ্যায় আবার জিতন মিয়ার খড়ের গাদা ও লাট মিয়ার বসত ঘর এবং বৃহস্পতিবার সকালে কৃষক মানিক মিয়ার বসত ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে ঘুরেফিরে একের পর এক অগ্নীকান্ডের ঘটনায়, এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ছে। পাহারা দিয়েও তাদের গো-খাদ্যের খড় ও ঘর রক্ষা করতে পারছেন না।

বৃহস্পতিবার বিষয়টি কেন্দুয়া রির্পোর্টাস ক্লাবের সভাপতি আসাদুল করীম মামুন ও নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সারোয়ার জাহান কাউসার মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভায় উপস্থাপন করেন।

ঘটনার বিষয়ে জানতে বৃহস্পতিবার বিকালের
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষক জিতন মিয়ার বসত ঘর, গোয়াল ঘর, খড়ের গাদা ও সাবেক ইউপি সদস্য লাট মিয়ার বসত ঘর এবং মানিক মিয়ার বসত ঘরের ভিতরের কিছু অংশ আগুনে পুড়ে গিয়েছে।

এসময় সাবেক ইউপি সদস্য লাট মিয়া, জিতন মিয়াসহ বেশ কয়েকজন জানান, একই গ্রামের খলিল মিয়ার ছেলে সাইদুর মিয়া ও তার সঙ্গীও কয়েকজন মিলে, মঙ্গলবার রাতে কৃষক জিতন মিয়ার গোয়াল ঘর, খড়ের গাদা ও বসত ঘরের ভিতরে পর্দায় ও একই সময় সাবেক ইউপি সদস্য লাট মিয়ার বসত ঘর ও খড়ের গাদায় আগুন দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাইদুল মিয়া কে তারা আটক করে।
পরে স্থানীয় লোকজনের অনুরোধে থাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে বুধবার সন্ধ্যায় আবার কৃষক জিতন মিয়ার খড়ের গাদা ও সাবেক ইউপি সদস্যর ঘরে আগুন দেয়া হয়েছে বলে তারা জানান। এছাড়াও বৃহস্পতিবার সকালে কৃষক মানিক মিয়ার ঘরেও আগুন দেয়া হয়।
তবে পরে কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা তারা দেখতে পাননি বলে জানান।

আগুন দেওয়ার বিষয়ে জানতে সাইদুর মিয়ার সাথে কথা হলে সে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওদের বাড়িতে আমি আগুন দেয়নি।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সারোয়ার জাহান কাউসার সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি নিয়ে আগামী সোমবার ইউনিয়ন পরিষদের গ্রামের দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনা বসার একটা ব্যবস্থা করেছি।
বিষয়টি কেন্দুয়া থানার পুলিশকে অবগত করা হয়েছে।
আবুল কাশেম আকন্দ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির অন্যান্য খবর