কেন্দুয়া (নেত্রকোনা)সংবাদ দাতা ঃ
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার ১১ নং চিরাং ইউনিয়নের দুল্লী গ্রামের জাহাঙ্গীরের মেয়ে মাইসা আক্তার (৫) গুমের ঘটনা ঘটেছে। জাহাঙ্গীরের(৩৮) স্রী মাহিয়া আক্তার(২৫) জানায় আমি ১১জানুয়ারি ( বুধবার) রাত অনুমান ৮ ঘটিকার সময় রাতের খাবার খেয়ে আমার মেয়ে মোছাঃ মাইসা আক্তার (৫) সহ ঘুমিয়ে পড়ি। বৃহস্পতিবার সকালে অনুমান ৫ ঘটিকার সময় আমি ঘুম থেকে জেগে দেখি আমার পাশে মেয়ে মাইশা নেই। খোঁজাখুজি করে না পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আমার স্বামী জাহাঙ্গীরকে ফোন করে জানাই। সে সংবাদ পেয়ে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে বাড়ীতে আসে এবং সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করে। আমাদের মেয়েকে আত্মীয় স্বজনদের বাড়ী সহ সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুজি করে না পেয়ে কেন্দুয়া থানায় এসে আমার স্বামী কেন্দুয়া থানার নিখোঁজ সাধারণ ডায়রী নং-৫৭০, তারিখ-১৩/০১/২০২৩ দায়ের করেন।
কেন্দুয়া থানার অফিসার ইন চার্জ আলী হোসেন বলেন তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ও স্থানীয়ভাবে এলাকার লোকজনদের সাথে কথা বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা যায় যে, ভিকটিম মাইসা আক্তার (৫) কে তার পিতা-মাতা কুমিল্লা জেলাধীন দাউদকান্দি থানার বাহের চর গ্রামে ভিকটিমের মা মাহিয়া আক্তারের বড় বোন মোসাঃ মাসুদা বেগমের নিকট রেখে আসে। ভিকটিম মাইসা আক্তার (৫) এর পিতা-মোঃ জাহাঙ্গীর এবং মাতা-মোছাঃ মাহিয়া আক্তার কে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা স্বীকার করে যে, ৮ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধের প্রেক্ষিতে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য তারা পরিকল্পিতভাবে এই ভিকটিম নিখোঁজের ঘটনা সাজিয়েছে। পরবর্তীতে কেন্দুয়া থানা পুলিশ ভিকটিমের মা মাহিয়া আক্তার সহ কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানা পুলিশের সহযোগীতায় ভিকটিম মাইসা আক্তার (৫) কে কুমিল্লা জেলাধীন দাউদকান্দি থানার বাহের চর গ্রামের ভিকটিমের খালা মোসাঃ মাসুদা বেগম এর বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে তার নিকট হতে ভিকটিমের মায়ের সনাক্ত মতে সুস্থ স্বাভাবিক অবস্থায় ভিকটিমকে উদ্ধার করে শনি বার (১৪ জানুয়ারি)বিকালে কেন্দুয়া থানায় নিয়ে আসি। মাইসার মা বাবার কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
অধিকতর তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে বলেও তিনি জানান।