কেন্দুয়া (নেত্রকোনা)সংবাদদাতা
নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইবাড়ি ইউনিয়নের ফতেপুর সামনে পাড়া গ্রামের মুসলিম উদ্দিনের ছেলে মুখলেছ মিয়ার ফিসারি পুকুরে মরে ভেসে উঠল অনন্ত ৫০ লাখ টাকার শিং মাছ।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ভোরে পুকুর পাড়ে বিদ্যুৎতের লাইট বন্ধ করতে গিয়ে মুখলেছ মিয়ার ছোট বোন ইতি আক্তার দেখতে পায় তিনটি পুকুরের শিং মাছ মরে ভেসে উঠছে।
ফিসারি পুকুরের মালিক মুখলেছ মিয়া বলেন, বাড়ির পিঁছনে ১৭ কাটা জমিতে চারটি ফিসারি পুকুরের মধ্যে শিং মাছ চাষ করা হয়েছিল। তার মধ্যে ১২ কাটার তিনটি ফিসারি পুকুরে সমস্ত শিং মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এতে করে প্রায় ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে পুকুরের মালিকের স্ত্রী সালমা আক্তার বলেন, শত্রুতা করে একই গ্রামের তাহের উদ্দিনের লোকজন বিষ প্রয়োগ করে তাদের পুকুরে সমস্ত মাছ নিধন করেছেন।
তিনি আরো বলেন, তাহের উদ্দিন গংদের সাথে একটি ঘটনায় গত ২৬ মার্চ মারামারি হয়।
এ নিয়ে আন্জু মিয়া বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানায় আমাদের ২৪ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। এর পর থেকে আমাদের বাড়ির পুরুষ লোকজন বাড়ির বাহিরে থাকে।
এই সুযোগে বুধবার রাতে কোন একসময় ফিসারি পুকুরে বিষ প্রয়োগ করা হয়। এতে করে তাদের পুকুরের সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান
বলেন, সকাল বেলা খবর পেয়ে ফিসারি পুকুর পাড়ে এসে দেখি তিনটি পুকুরে সমস্ত শিং মাছ মরে ভেসে উঠেছে। তবে আমার ধারণা বিষ প্রয়োগের ফলেই মাছ মারা গিয়েছে।
মাছ নিধনের বিষয়ে প্রতিপক্ষ তাহের মিয়া গংদের নামে কেন্দুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানান ফিসারির মালিক মুখলেছ মিয়া।
এ বিষয়ে তাহের উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমাদের বিষয়ে আনা অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যা। তাদের সাথে আমাদের মারামারি হয়েছিল। এর পর থেকে আমরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি। আমরা তাদের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করিনি।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী হোসেন বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুকুর মালিকের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আজহারুল আলম বলেন, খবর পেয়ে পুকুর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা নিরিক্ষার মাধ্যমে বলা যাবে মাছ মরে যাবার সঠিক কারণ।