জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশন ঢাকায় কার্যালয় করতে চায়

publisher / ১৫ দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশন ঢাকায় কার্যালয় করতে চায়। জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এমাসেই বাংলাদেশ সফরে আসছেন। তাঁর এ সফরে ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপন করার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ন আলোচনা হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে একটি চুক্তিও হতে পারে। ভলকার তুর্কের এ সফরের মধ্য দিয়ে কার্যালয় স্থাপনের বিষয়টি এগিয়ে নেওয়া হবে । 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ভলকার তুর্কের সফরের মধ্য দিয়ে এটি হবে দ্বিতীয় কোনো জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের বাংলাদেশ সফর। এর আগে ২০২২ সালের আগস্টে তৎকালীন হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট ঢাকা সফর করেছিলেন। আগামী ২৯ থেকে ৩১ অক্টোবর ভলকার তুর্কের ঢাকা সফরের কথা রয়েছে। সফরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি অন্য উপদেষ্টা, সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ অংশীজনের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, ভলকার তুর্কের সেপ্টেম্বরে ঢাকা আসার কথা ছিল। কিন্তু সময় জটিলতার কারণে তা পিছিয়ে অক্টোবরে নির্ধারিত হয়। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সাইডলাইনে প্রধান উপদেষ্টা এবং ভলকার তুর্কের বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে কার্যালয় স্থাপনের বিষয়টি উঠে আসে। তাঁর এ সফরে মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাবে। এ ছাড়া জুলাই-আগস্টে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টিও আলোচনায় আসবে।

প্রতিটি দেশেরই মানবাধিকার লঙ্ঘনের নজির রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, জাতিসংঘ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপন করতে পারে না। কারণ এ ধরনের কার্যালয় স্থাপন করতে দিলে সে দেশে মানবাধিকার নিয়ে অনেক বেশি তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ পাবে। মূলত শক্তিশালী দেশগুলো মানবাধিকারকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। ফলে বাংলাদেশ এখনও বিষয়টি বিবেচনার মধ্যে রেখেছে। বিশ্বে মাত্র ১৯টি দেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনারের কার্যালয় রয়েছে। বাংলাদেশে কার্যালয় স্থাপন হলে তা হবে ২০তম। এ কার্যালয়গুলো থেকে প্রধানত মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ, সুরক্ষা, গবেষণা, সরকার, জাতীয় কর্তৃপক্ষ, নাগরিক সমাজ, ভুক্তভোগী ও অন্য প্রাসঙ্গিক সহযোগীদের প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রদান, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং জনসাধারণের প্রতিবেদনের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত সহায়তার ব্যবস্থা করে থাকে। যেসব দেশে এ ধরনের কার্যালয় থাকে, সেখানে অবারিত প্রবেশাধিকার থাকে। ফলে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কোনো সফর করতে হলে আলাদা করে সে দেশের সরকারের অনুমতির প্রয়োজন হয় না।

সূত্রঃইন্টারনেট/সম/নিউজ- রাগৌ-২৪


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির অন্যান্য খবর