পূর্বধলা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি: নেত্রকোনার পূর্বধলার বিশকাকুনি ইউনিয়নের বড়রুহী গ্রামের ৪১৭টি বিদ্যুৎ মিটার সংযোগ দেওয়ার নামে একই গ্রামের মোঃ আব্দুল লতিফের ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম, আরশাদ আলীর ছেলে মোফাজ্জল হোসেন বিগত এক বছর আগে থেকে ৪৫০০ টাকা কোন কোন ক্ষেত্রে আরো বেশি করে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।এরই প্রেক্ষিতে গত কাল (৫ আগষ্ট) এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় স্থানীয় এলাকার মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোফাজ্জল হোসেন, ইকবাল হোসেন, শহীদ, আবুল কাশেম, সোহাগ, আইজুদ্দিন, নুর মিয়ার মাধ্যমে টাকা তুলে নেয়। মিটার প্রতি ৪২০০ থেকে ৪৫০০ টাকা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ৮০টি মিটার স্থাপন করা হয়েছে কিন্তু সংযোগ দেয়ার কোনো হদিস নেই।এলাকাবাসী ভুক্তভোগী আবু রায়হান, মানিক মিয়া, মাসুদ মিয়া, জসিম উদ্দিন, আব্দুল মান্নান, আব্দুল খালেক,বাচ্ছু মিয়া,মানিক জানান, বিগত এক বছর আগে রফিকুল ইসলাম ৩৫০০ টাকার মধ্যে প্রতি মিটার বিদ্যুৎ সংযোগ দিবে বলে টাকা নেয়। আমরা সেমতে এখন পর্যন্ত ৪২০০ থেকে ৪৫০০ টাকা পর্যন্ত প্রদান করেছি। কিন্তু বিদ্যুৎ সংযোগ দিচ্ছে না এখন আর মোবাইলওে তাকে পাওয়া যাচ্ছেনা।এলাকাবাসীর দাবি অনেকেই হাঁস-মুরগির জমি বন্ধক, ধার-দেনা করে টাকা জমা দিয়েছে। কিন্তু বিদ্যুৎ না পাওয়ায় তাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।অর্থ আত্মসাৎ কারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় বিচারের দাবি করেছেন। জানা যায় বড়রুহী গ্রামের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রামের লট নং ৩০৭৪ প্যাকেজ ১৫৪/৩ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগের নামে ৩০ লক্ষ টাকা লুটপাটের পাঁয়তারা চলছে। যদিও বিদ্যুৎ সমিতির হিসাব অনুযায়ী মিটার প্রতি সর্বমোট বারোশো তেরোশো টাকা খরচ হওয়ার কথা। সেখানে এত টাকা হাতিয়ে এলাকার সহজ সাধারণ মানুষদের টাকা লুট করে নিয়ে আত্মসাৎ করার চেষ্টা চালাচ্ছে।এ ব্যাপারে মো:রফিকুল ইসলামের সাথে আলাপ করে জানা যায়,সে কোন টাকা নেয়নি তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সম্পূর্ন ভিত্তিহীন। নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পূর্বধলার দায়িত্বপাপ্ত ডিজিএম লিপিয়া বেগম বলেন, উক্ত লটে ৩৯১টি মিটারের ডিজাইন করা হয়েছে তার মধ্যে ২৩২টি মিটার দেয়া হয়েছে বাকীগুলির আবেদন করলে সে গুলিও দেয়া হবে।এ মাসের মধ্যেই বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে।টাকা জমার বিষয়টি মাইকিং করে এলাকায় জানিয়ে দেয়া হয়েছে।আর আমাদের বিদ্যুৎ অফিসের কেহ টাকা নেয়ার সাথে জরিত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।