ষ্টাফ রিপোর্টার;
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে সাংবাদিক নোমানের উপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও দায়ীদের শাস্তির দাবী জানিয়েছেন সাপ্তাহিক রাজগৌরীপুর ও রাজগৌরীপুর ডটকম সম্পাদক ইকবাল হোসেন জুয়েল। এছাড়া ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দ্রুত দায়ীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগের সকল সাংবাদিক সংগঠন।
নিউজ ২৪ ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিনিধি সৈয়দ নোমান সোমবার সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান পেশাগত কাজে। সকাল সোয়া ১০ টার দিকে ভবনের সামনে থেকে করোনায় চিকিৎসা ব্যবস্থার আপডেট জানিয়ে টেলিভিশনে লাইভ দেয়ার সময় তাকে বাঁধা দেয় আবুল কালাম আজাদ নামে এক লোক। এসময় সে নিজেকে হাসপাতালের আউটসোর্সিং এর ডিরেক্টর পরিচয় দিয়ে লাইভ করতে নিষেধ করে। যা ঠিক লাইভ শুরু করার আগ মূহুর্তে। এসময় সাংবাদিক নোমান পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে লাইভটি শেষ করেন। পরে কালাম সাহেবের কাছে কাজে বাঁধা প্রদান করার কারন জানতে চান। এ সময় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিক সমাজকে নিয়ে যাচ্ছেতাই মন্তব্য করেন। জানতে চান কার অনুমতি নিয়ে লাইভ করা হচ্ছে? এক পর্যায়ে ক্যামেরাকে নিয়েও টানা হেঁচড়া করে সিফাত নামের আরেক সুপারভাইজার। দীর্ঘক্ষণ শ্বাসানোর পর তারা হাসপাতালের ভেতরে নিয়ে যাবার চেষ্টা চালায় নোমান এবং নিউজ টুয়েন্টিফোরের ক্যামেরা পার্সন শৈবাল দাসকে। ঘটনার শুরুতেই নোমান বিষয়টি হাসপাতালের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে মুঠোফোনে অবগত করলে সেখান থেকেও অবহেলিত হন। অবশেষে দীর্ঘক্ষণ ধৈর্যবান হয়ে হেনস্থাই মাথা পেতে নিয়ে সেবার আশ্রয়স্থল থেকে ফিরে আসেন আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরা।
এই ঘটনায় ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব, ময়মনসিংহ সাংবাদিক ইউনিয়ন, ময়মনসিংহ রিপোর্টার্স ইউনিটি,
সাংবাদিক বহুমুখী সমবায় সমিতি, ময়মনসিংহ টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন, ময়মনসিংহ টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটি, নিউজ চ্যানেল জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন-ময়মনসিংহ অঞ্চল, ইয়্যুথ জার্নালিস্ট ফোরাম বাংলাদেশের যৌথ সভায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানানো হয়। প্রতিবাদ কর্মসূচী নেয়া হয়েছে।